মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট
মঙ্গলবার, সুস্পষ্ট সাইডওয়েজ চ্যানেলের মধ্যে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং চলমান ছিল। সামষ্টিক অর্থনৈতিক বা মৌলিক কোন কারণই এই পেয়ারের মূল্যকে এই ফ্ল্যাট রেঞ্জ থেকে বের করতে পারেনি। আমরা আগেই সতর্ক করেছিলাম যে কারেকশন দীর্ঘ সময় চলমান থাকতে পারে, কারণ এটি মার্কেটের সাধারণ প্রবণতা। কারেকশন প্রায়শই নতুন পজিশন জমা করার জন্য ব্যবহৃত হয় এবং আমরা মনে করি যে বর্তমান ধাপটি ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করার সাথে সম্পর্কিত। ফ্ল্যাট মুভমেন্ট শেষ না হওয়া পর্যন্ত, কোন নির্দিষ্ট দিকে মূল্যের মুভমেন্ট নিয়ে আলোচনা করা অসম্ভব। ফ্ল্যাট ট্রেডিং সবসময় অস্থির এবং এলোমেলো হয়।
গতকাল ইউরোজোনে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল যা গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ হিসেবে বিবেচনা করা যায় এবং এগুলো এই পেয়ারের মূল্যের মোমেন্টামের উপর কোন প্রভাব ফেলেনি। যুক্তরাষ্ট্রে শিল্প উৎপাদন এবং খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রথম প্রতিবেদনটির ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল ফলাফল ছিল, তবে দ্বিতীয়টির ফলাফল পূর্বাভাস ছাড়িয়ে যায়। প্রত্যাশা অনুয়ায়ী, ফ্ল্যাট মুভমেন্ট অব্যাহত রয়েছে।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
মঙ্গলবার, ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে কেবল একটি সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। রাতে 1.0526 লেভেল থেকে একটি রিবাউন্ড ঘটে, তবে ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশন শুরু হওয়ার আগেই মূল্য সিগন্যালের গঠনের পয়েন্ট থেকে খুব বেশি দূরে সরে যায়নি। এই পেয়ারের মূল্য নিকটবর্তী লক্ষ্যমাত্রা 1.0451-এ পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়, তবে নতুন ট্রেডাররা দিনের বেলায় মুনাফা সহ ট্রেড ক্লোজ করার বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল।
বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, এখনও 1.0451–1.0596 এর সাইডওয়েজ চ্যানেলের মধ্যে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের কারেকশন চলমান রয়েছে। দুই মাসের নিম্নমুখী প্রবণতার পরে, কেউই ইউরো ক্রয়ের জন্য তাড়াহুড়ো করছে না। এই সপ্তাহে, উল্লিখিত চ্যানেলের নিচের সীমানা দিয়ে এই পেয়ারের মূল্য়ের বের হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা তিন মাস আগে শুরু হওয়া নিম্নমুখী প্রবণতার পুনঃসূচনা নির্দেশ করবে। তবে, এটি অনেকটাই সামষ্টিক অর্থনৈতিক এবং মৌলিক পটভূমির উপর নির্ভর করবে।
বুধবার এই পেয়ারের মূল্যের নির্দিষ্ট কোন মুভমেন্ট প্রত্যাশা করা কঠিন হবে। সন্ধ্যায় FOMC-এর বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, তাই দিনের বেলায় মূল্য সম্ভবত সাইডওয়েজ চ্যানেলের মধ্যেই থাকবে।
৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য, 1.0269-1.0277, 1.0334-1.0359, 1.0433-1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0845-1.0851, এবং 1.0888-1.0896 লেভেলগুলো বিবেচনা করা উচিত। বুধবার, ইউরোপীয় ইউনিয়নে নভেম্বরের মুদ্রাস্ফীতির দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশ করা হবে, যা গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে সেগুলোও গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ। তবে সন্ধায় ফেডের বৈঠক ও পাওয়েলের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে এবং হালনাগাদকৃত ডট-প্লট চার্টও প্রকাশিত হবে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।